শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
এক দফা দাবিতে নার্সদের পতাকা মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সড়কে মানুষের চাপ ও বাসে উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সড়কে মানুষের চাপ ও বাসে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। অফিস মুখো মানুষের চাপে কোথাও কোথাও যানজটও তৈরি হয়।

ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটর সাইকেলের চলাচলও ছিল গতকালের চেয়ে বেশি।

সোমবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, আসাদগেট ও মহাখালী এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। এসব এলাকার অধিকাংশ বাস স্টপেজগুলোতেই যাত্রীরা সকাল থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঢাকা জেলার ভেতরে ও বাইরে চলাচল করা স্বল্প দূরত্বের মিনি বাসগুলো ছিল যাত্রীতে ঠাসা।

মূলত সকালে গাড়ির পরিমাণ কিছুটা কম হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সড়কে বাড়তে থাকে গাড়ির পরিমাণ। ফলে বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয় যানজট। যাত্রীরা বলেন, গন্তব্যে যেতে কোনো প্রকারের ঝামেলা এড়াতেই সকাল সকাল বের হয়েছেন তারা।

আমিনুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চাপও বাড়ে। তখন বাসে উঠতে আরও কষ্ট হয়। সেজন্য আমি প্রতিদিন একটু সকালেই বাইরে বের হই। এ সময় রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে ফলে পৌঁছানো যায় দ্রুত। অবরোধের প্রভাব তেমন একটা নেই। সন্ধ্যার পরে রাতে গাড়ির পরিমাণ কম থাকে। সারাদিন তো দেখি অনেক গাড়িই চলে।

মহাখালীর আমতলী বাসস্ট্যান্ডে রাবেয়া বসরী নামের এক যাত্রী বলেন, রাস্তার হালচাল কিছু বুঝি না। হঠাৎ দেখি গাড়ির পরিমাণ বেশি। আবার দেখি নেই। এখানে অনেকক্ষণ ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কোনো বাসে উঠতে পারছি না। সবগুলো বাসের গেট পর্যন্ত একেবারে ঠাসা।

বাসের পরিবহন শ্রমিকরাও জানালেন, গতকালের তুলনায় আজ যাত্রীর পরিমাণ প্রচুর। আজিমপুর থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ভিআইপি-২৭ বাসের চালকের হেলপার আব্দুল্লাহ বলেন, আজ অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। রাস্তায় জ্যামে পড়তে হচ্ছে।

তবে বিপত্তিতে রয়েছেন দূরপাল্লার বাসের পরিবহন শ্রমিক-চালকরা। অবরোধের আতঙ্কে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় বাসস্ট্যান্ড থেকেই গাড়ি ছাড়তে পারছেন না তারা। এতে করে দৈনিক খরচ মেটাতে ও খাবার টাকা জোগাড় করতে ঋণও করতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।

প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ৪র্থ দফার ৪৮ ঘণ্টার এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে গতকাল (রোববার) ভোর ৬টা থেকে। গত বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com